দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ঢাকার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ সাত আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে এই জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আসামিদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এবং দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জামিন প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছে কলেজের প্রিন্সিপাল মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীনা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া, এবং মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়া।
দুদক সূত্রে জানা যায়, কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়া ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডি আর রাখেন, যা তিনি বৈধ উৎস থেকে অর্জন করতে পারেননি। এ কারণে দুদক ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর মামলা দায়ের করে, পরে তদন্ত শুরু হয়। আদালতে সম্প্রতি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, আকরাম মিয়ার নামে থাকা ২৪ কোটি টাকার এফডিআর অস্বাভাবিক এবং এই টাকা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে অর্জিত হয়েছে। তিনি ২০১০ সালে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৩ টাকা বেতন পেয়েছেন, যা এফডিআর হিসাবের পরিমাণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এছাড়া, আকরাম মিয়া কলেজের গভর্নিং বডির অনুমোদন বা রেকর্ডপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার নামে এফডিআর থাকার বিষয়টি কলেজের নীতিমালা এবং ব্যাংকিং বিধির পরিপন্থী, কারণ কলেজের হিসাব শুধুমাত্র কলেজের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা উচিত ছিল।